বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর প্রায় ৬৫ ভাগ কর্মীই কোম্পানির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে কাজ করে থাকেন। ফয়সাল সাহেব সেই ৬৫ ভাগের একজন। একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার তিনি। সেলস ফোর্স , মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের নিয়েই তাঁর সারা দিনের বেশীরভাগ কর্মব্যস্ততা। কে কোন ক্লিনিকে মেডিকেলে ভিজিট করছে, কোন ফার্মেসির কত অর্ডার সবিছুই মনিটর করতে হয়। এখানেই শেষ নয়, অর্ডার কাটা হলে, সেই অনুসারে ঔষধ ডেলিভারিও নিশ্চিত করতে হয়।
ভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জ ফার্মাসিউটিক্যাল সেলস ফোর্স ম্যানেজমেন্ট
অন্যান্য কোম্পানির চাইতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সেলস ফোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং আরো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কেননা এফএমসিজি (FMCG- First Moving Consumer Good) এর মতো করে ঔষধ এর জন্য মার্কেটিং করা যায় না। দু একটা ব্যাতিক্রম ছাড়া অন্য কোনো ঔষধের জন্য ম্যাস মিডিয়াতে অ্যাড দেয়া নিষেধ আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে। তাই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে এগুতে হয় ডিটিসি (DTC- Direct to Consumer ) পদ্ধতিতে।
এই পদ্ধতিতে মার্কেটিং এবং সেলস করতে হয় বলে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর অধিকাংশ কর্মী সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এ কাজ করে। কেননা ম্যান টু ম্যান ভিজিট এই পদ্ধতির একটি বড় হাতিয়ার। আর এখানেই সবচাইতে বড় ভূমিকা রাখে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা এবং এরিয়া ম্যানেজাররা।
ফলে এখানে এই জনবলকে কাজে লাগানোর একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। রিপ্রেজেন্টেটিভদের সাথে সকালে ও সন্ধ্যা একবার করে মিটিং, কে কোন মেডিকেল বা ক্লিনিকে যাচ্ছে ভিজিটে তা মনিটর করা। কীরকম অর্ডার কাটছে ও কি পরিমাণ অর্ডার কাটছে সেসব খোঁজ খবর সঠিক ভাবে রাখা এবং অর্ডারের অনুসারে ফার্মাসি ও মেডিক্যালগুলোতে ঔষধ সরবরাহ। পুরো প্রক্রিয়াতেই একটা টিম একসাথে হয়ে কাজ করে। ফলে এই টিমের কর্মদক্ষতা এবং সমন্বয় করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা সময় ও শ্রমের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলেই আসবে সর্বোচ্চ সফলতা।
চ্যালেঞ্জিং কাজে প্রযুক্তির সহায়তা
এরিয়া ম্যানেজার ফয়সাল সাহেব এই চ্যালেঞ্জটাকে আরও সহজ করতে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেন। টাস্ক/টিম ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ কনভেন্স এর সহায়তায় তাঁর পুরো সেলস অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ টিমকে তিনি হাতের মুঠোয় রাখতে পারেন। তাঁর টিমের প্রতিটি সদস্যও একই অ্যাপ ব্যবহার করে। ফলে কমিউনিকেশন গ্যাপ দূর হয়ে যায় এবং কাজ হয়ে আরো বেশি গুছানো।
দিনের শুরুতেই তিনি এই অ্যাপ এর মাধ্যমে সকল রিপ্রেজেন্টেটিভের দৈনিক কাজের ও ভিজিটের শিডিউল টাস্ক ক্রিয়েট করে নিতে/দিতে পারেন সহজেই। যারা একই এরিয়া বা মেডিকেলে নিয়মিত ভিজিট করে তাদের কাজ ক্রিয়েট করতে পারেন একবারেই চেইন টাস্কের মাধ্যমে। দিনের শুরুতে জনে জনে কল দেবার প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। কারণ অ্যাপ দিয়েই এখন যোগাযোগ করা যায়, টাস্ক ক্রিয়েট করে দিলেই নির্দিষ্ট সকল অপারেটরের (রিপ্রেজেন্টেটিভ) কাছে নোটিফিকেশন চলে যায়। রিপ্রেজেন্টেটিভও তাঁর শিডিউল দেখে নিয়ে কাজে লেগে যেতে পারেন সহজেই। সময় বাঁচে। সরাসরি মিটিং এর প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস পায়। যদি অ্যাপ দিয়েই কাজ করানো তাহলে বিশেষ কিছু প্রয়োজন ছাড়া মিটিং এর হার কমে আসে। অ্যাপ এর কমেন্ট অপশনের মাধ্যমে ইন্সট্যান্ট ফিডব্যাক দেয়া ও নেয়াও সম্ভব হয়।
সেলস ও সেলস ফোর্স মনিটরিং এখন হাতের মুঠোয়
এরপর আসে কাজের মনিটরিং। ফয়সাল সাহেব সকালে সব কাজ বুঝিয়ে দেন। তাই তাঁর অধীনে থাকা রিপ্রেজেন্টেটিভদের মনটরিং এবং কাজের আপডেট রাখার জন্যও সারাদিন যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। এই জায়গাতেও কনভেন্স অ্যাপ সহায়তা করে। এই অ্যাপ দিয়েই ম্যাপে দেখা যায় তাঁর অধীনে থাকা সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভরা কে কোথায় কাজ করছে ও যাচ্ছে। ফলে মনিটরিং নিয়েও তাঁর কোন ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। শুধুমাত্র মোবাইলে অ্যাপ ওপেন করেই চোখ বুলিয়ে নিতে পারছেন যখন তখন। এমনকি কাজের সময়ও সেট করে দিতে পারছেন। কর্মী কাজে গেলে এবং কাজ শেষ করে অ্যাপ এ আপডেট করে দিলে তিনিও সাথে সাথে নোটিফিকেশন পেয়ে যাচ্ছেন। কোন প্রতিনিধিকে আর্জেন্ট বা ইন্সট্যান্ট কাজ এসাইন করতে হলে, কনভেন্স অ্যাপ দিয়েই তা করে দিচ্ছেন। নির্ধারিত রিপ্রেজেন্টেটিভও আর্জেন্ট কাজের নোটিফিকেশন পেয়ে কাজে লেগে যাচ্ছেন।
দিন শেষে কে কোন এরিয়ায় কতগুলো ভিজিট করতে পারলো, কোনো কাজ মিস হয়ে গেল কিনা, কি পরিমান অর্ডার তারা কেটেছে, সে হিসেবও অ্যাপ এর মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছেন ফয়সাল সাহেব। ফলে কাজের ওভারঅল অগ্রগতিও তিনি অ্যাপ এর মাধ্যমে পেয়ে যান। শুধু যে দৈনিক রিপোর্ট পান তা নয়, মাসিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতেও সবার কাজের রিপোর্ট পাওয়া যায় এক অ্যাপ দিয়েই।
ডেলিভারি ম্যানেজমেন্টও হয় একই অ্যাপ দিয়ে
অর্ডার কাটা হলে এবার অর্ডার অনুসারে ঔষধ ডেলিভারি। ডেলিভারিতেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে কনভেন্স অ্যাপ। কোন গাড়ি কোন কোন ফার্মেসিতে ও ক্লিনিকে ঔষধ সরবরাহ করবে এই কাজও এসাইন ও মনিটর করা যায় কনভেন্স অ্যাপ দিয়ে। ড্রাইভারের মোবাইলে কনভেন্স অ্যাপ থাকলে ও তাকে অর্ডার অনুসারে ঔষধ সহ ডেলিভারির টাস্ক অ্যাপ এসাইন করে দিলেই হয়। বাদ বাকি কাজ করা যাবে অ্যাপ দিয়ে। কোন গাড়ি কোন রুটে যাবে, ম্যাপেই তা ঠিক করে দেয়া যায়। ডেলিভারি রুটের কোন কোন ফার্মেসিতে যাবে তাও সেট করে দেয়া যায়। এবং কোন ডেলিভারি ভ্যান কোনো নির্দিষ্ট সময়ে, কোন স্থানে আছে তাও দেখা যায় ম্যাপের মধ্যে। অর্থাৎ ডেলিভারি ট্র্যাক করাও যায়। ডেলিভারি হয়ে গেলেও সে খবরও পাওয়া যায়।
অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে ফয়সাল সাহেবের টিম এবং ডেলিভারি দুই ক্ষেত্রেই সকল চ্যালেঞ্জকে আরো সহজ করে তুলেছে কনভেন্স অ্যাপ। এমন একটি যুগোপযোগী প্রযুক্তি বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সেলস ফোর্সকে আরো বেশি শক্তিশালী এবং দক্ষ করে তুলতে পারে। সময় বাঁচিয়ে এবং খরচ বাঁচিয়ে একটা টিমকে সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করতে ফয়সাল সাহেবের কাছে কনভেন্স অ্যাপ অতুলনীয়!
কনভেন্স অ্যাপ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে বা ব্লগে।