Skip to content

ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারছেন রফিক সাহেব!

একজন ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজারের ঘুম থেকে ওঠার জন্য এলার্ম সেট করা লাগে না। সাত সকাল থেকেই একের পর এক ফোন কল আসতে থাকে যে, এলার্মের কার্যকারিতা তাঁর কাছে বলতে গেলে শুন্য। দিনের শুরুই যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে ভাবুন, সারাটা দিন তাঁর কেমন যায়! থাক, অতদুর ভেবে আর মনটাকে বিষিয়ে তোলার প্রয়োজন নেই। বরং এমন একজন ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজারের গল্প শোনা যাক; যার কাছে ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজটা একদম পানির মত সহজ হয়ে উঠেছে। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট অপারেশন টাস্ক এবং ট্র্যাকিং যার এক হাতের মুঠোয়!

 

ট্রান্সপোর্ট বা ফ্লিট টাস্ক ম্যানেজমেন্টে কনভেন্স অ্যাপ

 

 

সকাল বেলা এলার্ম বাজতে শুরু করলে রফিক সাহেব ফোনটা হাতে নিয়ে এলার্ম বন্ধ করেন। তারপর বিছানায় শুয়ে থেকেই, ১০-২০ মিনিটে সারাদিনের কাজের মোটামুটি একটা খসড়া করে ফেলেন কনভেন্স অ্যাপের মাধ্যমে।

কোন ড্রাইভার, কোন গাড়ি নিয়ে কোথায় যাবে, কি নিয়ে যাবে, কী নিয়ে ফিরবে এবং কোন সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছুতে হবে, সবকিছুই সেট করে দেন অ্যাপ এর মধ্যে। তাঁর গাড়ির ড্রাইভাররাও কনভেন্স অ্যাপ ব্যবহার করেন। রফিক সাহেব অ্যাপের মধ্যে যেসব কাজ সেট করে দেন এবং যেভাবে যেভাবে শিডিউলিং করে রাখেন, ড্রাইভাররাও অ্যাপ হাতে সেটা দেখতে পান। ফলে অনবরত ফোন কলের হ্যাপায় না থেকে বরং তাঁর সকালটা শুরু হয় আরও সুন্দরভাবে।

সকালের নাস্তা সেরে, চায়ে চুমুক দিতে দিতে অ্যাপটায় আবার চোখ বুলিয়ে দেখে নেন, সবকিছু ঠিকঠাক সেট করা হয়েছে কিনা এবং ট্রান্সপোর্ট অপারেশনের সময়গুলো ঠিক আছে কিনা। তারপর আস্তে ধীরে সময় মতো অফিসে ঢোকেন।

রফিক সাহেবের কোম্পানির একটা গাড়ি আজ সকালে বাংলাবাজার যাবার কথা। সেখান থেকে প্রোডাক্ট প্যাকেজিং এর কাঁচামাল নিয়ে আসতে হবে। এই কাজের জন্য নির্ধারিত গাড়ি এবং ড্রাইভার দুটিই তিনি ঠিক করে দিয়েছেন অ্যাপ এর মধ্যে। অফিসে এসে অ্যাপ ওপেন করে দেখলেন, ড্রাইভার তখন অলরেডি ট্রিপ নিয়ে বাংলাবাজারের পথে। হঠাৎ করে কারখানা থেকে জানানো হলো, প্রিন্টিং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালও লাগবে। এবং আজই সেটা করতে হবে। ততক্ষণে অলরেডি সব গাড়ি নির্ধারিত গন্তব্যে রওনা হয়ে গেছে। অতিরিক্ত কোন গাড়ি পাঠিয়ে যে প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়াল নিয়ে আসবেন সেই উপায়ও নেই। তাই যে গাড়িগুলো আছে সেগুলোর মধ্যেই একটা ম্যানেজ করতে হবে। অ্যাপ ওপেন করে দেখলেন যে গাড়িটা বাংলাবাজার যাবারকথা ছিল সেটা বাংলাবাজার পৌঁছেছে।

গাড়িটা যখন গন্তব্যে পৌঁছেছে, ড্রাইভারও তখন তাঁর হাতে থাকা কনভেন্স অ্যাপ ওপেন করে সেটা জানিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়াও কনভেন্স অ্যাপ এর ম্যাপে গাড়ির অবস্থানও দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং সুবিধাও পাচ্ছেন তিনি। রফিক সাহেব এই ড্রাইভারের জন্যই প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়াল নিয়ে আসার কাজটা দিবেন বলে ঠিক করলেন। কারণ বাংলা বাজার থেকে ফেরারপথে এই গাড়িটি চকবাজার হয়ে প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়ালও নিয়ে আসতে পারবে।

 

ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট হাতের মুঠোয়

কনভেন্স অ্যাপ ওপেন করে তিনি এই ড্রাইভারের জন্য নতুন একটা টাস্ক ক্রিয়েট করে দিলেন। কোন দোকান থেকে, কী পরিমাণ প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়াল লাগবে, কোন পথে যেতে হবে, কখন যেতে হবে। সবই সেট করে দিলেন অ্যাপ এর মধ্যে। সাথে সাথে নোটিফিকেশন চলে গেল ড্রাইভারের কাছে। তখন কেবল গাড়িতে প্যাকেজিং এর কাঁচামাল লোড হচ্ছে। অ্যাপে নোটিফিকেশন পেয়ে ড্রাইভার দ্রুত মাল লোড করার চেষ্টা করলেন এবং দুপুরের আগেই বাংলাবাজার থেকে গাড়ি স্টার্ট করে চকজারের দিকে রওনা হলেন।

দুপুরের মধ্যে গিয়ে পৌঁছুলেন নির্দিষ্ট দোকানে। গাড়ি সেখানে যাবার সাথে সাথে রফিক সাহেব খবর পেয়ে গেলেন অ্যাপ এর মাধ্যমে। হঠাত করেই চলে আসা বাড়তি কাজগুলো সঠিক সময়ের মধ্যে ম্যানেজ করতে পারার যে আনন্দ সেই আনন্দ রফিক সাহেবের মনের মধ্যে নিয়ে লাঞ্চ সারলেন। দিনটা তাঁর ভালই কাটছে। ঠিক যেভাবেই চাইছেন সেভাবেই তাঁর কাজকে ম্যানেজ করে কার্যকরী একটা ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ে তুলেছেন। ফলে কোম্পানিও অপটিমাইজ ওয়েতে ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট এর জন্য তাঁর উপরে পূর্ণ ভরসা রাখতে পারে।

 

ট্রান্সপোর্ট/ফ্লিট ট্র্যাকিং-এও সাহায্য করে কনভেন্স অ্যাপ

 

অবশেষে বিকেলে প্যাকেজিং এবং প্রিন্টিং উভয় রকমের কাঁচামাল হাজির হলো। এটা তো কেবল একটা গাড়ির ঘটনা। এরকম আরও ১০-১৫ টা গাড়ি তাকে ম্যানেজ করতে হয়। স্টাফ আনা নেয়া, প্রোডাক্ট ডিস্ট্রিবিউশন, সাপ্লাই চেইনের গাড়ি ম্যানেজমেন্ট সবকিছুই এখন তাঁর হাতের মুঠোয়। যে কাজগুলোকে তাঁর হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে কনভেন্স অ্যাপ।

কোন দিন কি কাজ, কোন ড্রাইভার কোন গাড়ি কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে এইটকুর মধ্যে তো আর ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সীমাবদ্ধ না। তাকে আরও অনেক কিছুর হিসেব রাখতে হয়, অনেক কিছুই নজরদারি করতে হয়।

কোন গাড়িটা কত পথ চলেছে, সে হিসেবে গাড়ির ফুয়েল কস্ট হিসেব করতে হয়। কোন রুট ব্যবহার করলে গাড়ির মাইলেজ কম হবে এবং একসাথে অনেক কাজ করে বেটার আউটপুট আসবে তাও নজরদারি করতে হয়। এছাড়া গাড়ির এবং পণ্যের নিরাপত্তার কথা তো না ভাবলেই নয়। তাই গাড়িকে রাখা চাই সব সময় নিজের অধীনে এবং নিজের নজরদারিতে।

 

গাড়িকে রাখে নিজের অধীনে

এই কাজেও কনভেন্স অ্যাপ মিস্টার রফিকের পাশে আছেন। কোন গাড়িটা সারাদিন কতো কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলো, কোথায় কোথায় গেল, কখন গেল, কখন ফিরলো সবই দেখতে এবং জানতে পারছেন অকনভেন্স অ্যাপ এর ম্যাপ থেকে। দিনের কাজের রিপোর্ট তো দিনেই দেখা যায়, সাপ্তাহিক রিপোর্টও জমা থাকে অ্যাপে। ফলে উইকলি বা মান্থলি ফ্লিট/ট্রান্সপোর্ট রিপোর্ট তৈরি করাও এখন তাঁর পক্ষে অনেক সহজ হয়ে গেছে।

অর্থাৎ ব্যাপারটা একদমই পরিষ্কার যে, কনভেন্স অ্যাপ দিয়ে রফিক সাহেব এক ঢিলেই দুই পাখি মারছেন। একদিকে ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজগুলো সময় মতো গুছিয়ে করতে পারছেন, অন্যদিকে ভেহিক্যাল বা ফ্লিট ট্র্যাকিং এর কিছু সুবিধাও পাচ্ছেন। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট এ তিনি নিজে দক্ষ হয়ে উঠছেন, পাশাপাশি ড্রাইভার এবং তাঁর টিমের সদস্যরাও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাই সময়ের কাজ সময় মতো, আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করে নির্বিঘ্নে এবং নিশ্চিন্ত মন নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রফিক সাহেব ভরসা রাখেন কনভেন্স অ্যাপ এর উপরে।

রফিক সাহেবের মতো যারা কর্পোরেট ফ্লিট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আছেন তাদের জয় তো বটেই, এমনিতে যারা রেন্ট এ কার বা পরিবহণ ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের জন্যও খুব কাজের একটি অ্যাপ কনভেন্স।

কনভেন্স অ্যাপ সম্পর্কে আরও জানতে চোখ রাখুন আমাদের ফেসবুক পেইজে ও ব্লগে। অথবা সরাসরি আমাদের সাথে কথা বলতে কল করুনঃ +8801894437373 নাম্বারে। প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোডও করতে পারেন। ডাউনলোড করলেই ১ মাসের ফ্রি সাবস্ক্রিপশন!

কনভেন্স অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে

Book a demo today!

We’d love to show you what Conveyance App has to offer.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =